দিল্লি হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় তাবলিগ জামাতের সদস্যদের দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজে অবস্থান করাকে সরকার নির্দেশনা লঙ্ঘন বলা যাবে না। আদালত বলেছে, “মারকাজে অবস্থান করাটাই অপরাধ নয়, বরং প্রমাণ করতে হবে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিনিষেধ অমান্য করেছে।”
বিচারপতি জ্যোতি সিং বলেন, “সরকারি আদেশ জারির আগে থেকেই অনেকে সেখানে ছিলেন। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণার পর তারা চলে যেতে পারেনি—এটা অপরাধ নয়।”
এই মামলায় তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক অভিযোগ পর্যালোচনার ভিত্তিতে আদালত এমন পর্যবেক্ষণ দেয়। আদালতের রায় অনুযায়ী, শুধু মারকাজে উপস্থিত থাকাই ‘অপরাধমূলক কাজ’ নয়—এর সঙ্গে ‘অপরাধমূলক অভিপ্রায়’ থাকতে হবে।
২০১৯ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার সময় ভারতে তাবলিগ জামাতের মারকাজে বিদেশি ও স্থানীয় সদস্যদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বহু সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় এবং কয়েকশ'র বেশি মামলা রুজু করা হয়।
এই রায়কে অনেকেই ‘ন্যায়বিচারের বিজয়’ এবং ‘ইসলামী জামাতের বিরুদ্ধে ভুলভাবে পরিচালিত প্রচারণার সংশোধন’ হিসেবে দেখছেন।